Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
বর্তমান সময়ে কম বেশি সবাই অনলাইনে টাকা আয় করতে চায়, সেজন্য অনেকে ব্লোগিং শুরু করে, কারণ বড় ভাইয়েরা বলে ব্লোগিং করে ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা আয় করা যায়, তাদের কত শুনে অনেকে না বুঝে, ব্লোগিং শুরু করে দেয়। কিছুদিন যাওয়ার পর হতাস হয়ে,সবাইকে বলে বেরায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় না। সবশুধু ধান্ধাবাজি।
আমরা সবাই জানি ব্লোগিং করে কেমন আয় করা যায়, কিন্তু ওই বড় ভাই ১ মাসে সাইট রেংক করে ফেলতেছে, Adsence Approve পাচ্ছে, আমি এত কষ্ট করার পরেও সাইটকে গুগলের প্রথম পেজে আনতে পারতেছিনা কেন?
কেননা আপনি নতুন, অনেক কিছু শিখতে হবে, বড় ভাই মাস গেলে অনেক টাকা আয় করে। তিনিও শুরুতে অনেক কষ্ট করেছে, আসতে আসতে সব কিছু শিখেছে। আপনি বড় ভাইয়ের আয় দেখে পাগল হলে চলবে না। আপনাকে আগে লেগে থেকে শিখতে হবে।
Read More: অন্য ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করা ভাল না খারাপ?
ব্লোগিং এর সফলতা পেতে হলে ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সব সময় নতুন নতুন বিষয় জানার আগ্রহ থাকতে হবে। আজকে আমরা এই পোষ্টে জানব, ওয়েবসাইট বানানোর পর কি কি করা উচিত এবং কনটেন্ট মার্কেটিং করে কিভাবে সহজে নিজের ওয়েবসাইটটিকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসা যায়।
সবার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে, ওয়েবসাইটটিকে কিভাবে সামনে নিয়ে যাইতে হবে। বাকিদের মত আগেই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করার চিন্তা মাথায় আনা যাবে না।
যেহুতো এটাও আপনার একটা Business সময় দিচ্ছেন, পরিশ্রম করতেছেন। এটা থেকে যেন ভাল কিছু আসে, সেরকম ভাবেই কাজ করে যান।
আপনি তো আগেই Domain Hosting এ কানেক্ট করে WordPress Install করে ওয়েবসাইট রেডি করেছেন। এ পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারন ওনেকে আছে শুধু ভাবে ব্লোগিং শুরু করবে, কালকে থেকে শুরু করবে কিন্তু শেষমেশ শুরু করায় হয় না তাদের।
যারা জীবনে রিস্ক নিতে পারবে, তারাই সামনে ভাল কিছু করতে পারবে। বাসায় রুমে বসে বসে এই করব সেই করব যারা এমন ভাবেন, তারা সারাজীবন ভাবতেই থাকবেন।
আর আপনি যদি এখনো ডোমেইন হোস্টিং না নিয়ে থাকেন, তাহলে তাড়াতাড়ি নিয়ে ফেলুন। কমদামে ভাল মানের ডোমেইন হোস্টিং নিতে চাইলে বাংলাদেশের মধ্যে দুটি ভাল হোস্টিং কোম্পানি থেকে নিতে পারেন।
আর আপনার যদি ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকে, তাহলে বাহির থেকেও ডোমেইন হোস্টিং নিতে পারেন। কারণ অনেকের মনে একটা ভুল ধারনা আছে বাংলাদেশি হোস্টিং ভাল না, আপনি ভাল সার্ভিস প্রভাইডারের থেকে নিবেন। অবশ্যই ভাল সার্ভিস পাবেন।
Read More: DMCA Protection Bangla
WordPress Install করার পর আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে, ওয়েবসাইটটিকে একটি সুন্দর প্রফেশনাল মানের লুক দেয়া। যাতে মানুষ আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিট করে সব ব্লোগ পোষ্ট ভাল ভাবে দেখতে পারে। সে জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে
ওয়েবসাইটটিকে সুন্দর লুক দেয়ার জন্য একটি থিম ব্যবহার করতে হবে যেটির ডিজাইন ও স্পিড ভাল। আপনার যদি বাজেট থাকে তাহলে আপনি আপনার পছন্দমত একটি থিম কিনে নিতে পারেন আর না হলে WordPress এ অনেক ফ্রি থিম আছে যেগুলো ব্যবহার করে শুরু করতে পারেন।
ফ্রি থিমের মধ্যে আমার পছন্দের কিছু থিমের নাম নিচে দিয়ে দিলাম
Primium Theme দিয়ে শুরু করতে চাইলে Themeforest এর মধ্যে অনেক থিম পাবেন, সেখান থেকে আপনার পছন্দের Theme কিনে নিবেন ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন, যেমন
Theme Install করে একটিভ করার পর,আপনার মন মত করে সব কিছু কাষ্টোমাইজেশন করে নিবেন। Premium Theme হলে সহজে Customize করতে পারবেন, সেসব থিমের অনেক গুলো করে ডেমো আছে, সেগুলো আপনি এক ক্লিকেই ওয়েবসাইট এ বসাতে পারবেন। Free And Paid সব থিমের Documentation আছে কিভাবে ইন্সটল করে কাস্টোমাইজেশন করতে হয়।
Read More: Bounce Rate কি?কিভাবে এটি কম করা যায়?
Theme Customization করার পর আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ন Plugin Install করে নিতে হবে। এখন মনে আসতে পারে প্লাগিন আবার কি,এটা কেমনে ব্যবহার করতে হয়। চিন্তার কোন কারন নেই, পড়তে থাকেন সব জেনে যাবেন।
প্লাগিন হলো WordPress এর একটি অংশ থিমের ফাংশন বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন মোবাইলের মধ্যে অনেক App Download দিয়ে এক ফোনের মধ্যে ব্যবহার করতে পারেন। তেমনি থিমের মধ্যে নতুন নতুন ফিচার এড করতে চাইলে আপানকে কোন কোডিং করতে হবে না, প্লাগিন ব্যবহার করে সেই কাজ সহজে করতে পারবেন।
WordPress এর প্লাগিন ডিরেক্টরিতে ফ্রি থিমের মত এখানেও হাজার হাজার ফ্রি প্লাগিন রয়েছে , এছারাও অনেক প্রিমিয়াম প্লাগিন রয়েছে
নতুন শুরু করার পর আপনাকে কিছু প্লাগিন অবশ্যই ইন্সটল করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটটিকে গুগলে রেংক করাতে চাইলে SEO Plugin ব্যবহার করতে হবে। এরকম আরো কিছু প্লাগিন আছে যেগুলো আপনার ওয়েবসাইটটিকে Secure এবং Powerfull রাখবে।
ওয়েবসাইটের সব কিছু কোস্টোমাইজেশন করার পর, এখন আপনাকে ব্লোগ পোষ্ট লিখতে হবে, যেই টপিক আপনি ভাল পারেন সে বিষয়ে ব্লোগ পোষ্ট লিখবেন। আগে থেকে লেখার অভ্যাস না থাকলে প্রথম অবস্থায় খারাপ লাগবে, কিন্তু আপনাক চেষ্টা করে যাইতে হবে এবং SEO Friendly Article লিখতে হবে। যেহুতো আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গুগলের প্রথম পেজে রেংক করানো
নিজে আর্টিকেল লিখতে না পারলে, আর্টিলের রাইটার হায়ার করতে পারেন। বাংলায় লিখাতে চাইলে Facebook এ অনেক Group রয়েছে সেখানে পোষ্ট করতে পারেন। আমার আর্টিকাল রাইটার দরকার টেক বিষয়ে লিখতে হবে ১ হাজার ওয়ার্ড শব্দ, কত টাকা করে দিতে চান তার বাজেট দিয়ে দিবেন পাশে।
আর যদি English এ কনটেন্ট রাইটার হায়ার করতে চান তাহলে আগের মত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তার সাথে কিছু ওয়েবসাইট আছে সেখান থেকেও Article Writer Hire করতে পারেন।
ব্লোগিং এ সফলতা পাওয়ার জন্য, গুগলে ওয়েবসাইট রেংক করাতে হবে। রেংক করাতে পারলেই ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক আসা শুরু করবে। সেজন্য আগে আমদেরকে ওয়েবসাইটটিকে গুগলে সাবমিট করতে হবে।সাবমিট করার ফলে গুগল ওয়েবসাইটের পোষ্ট গুলো আগেই ইন্ডেক্স হবে সঠিক কিওয়ার্ড পাওয়ার পর গুগল নিজেই রেংক দিয়ে দিবে।
Google Search Console এ ওয়েবসাইট Submit করতে হবে, এটি করার পর ওয়েবসাইটের Sitemap ADD করে দিতে হবে। গুগল কিছুদিন আগে একটি আপডেট নিয়ে এসেছে। যার কারনে পোষ্ট ইন্ডেক্স হতে বেশি সময় লাগতেছে, আবার হাই কুয়ালিটি পোষ্ট হলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ইন্ডেক্স করে দিচ্ছে। Content is King সেজন্য কনটেন্ট এর দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
নতুন অবস্থায় গুগল থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে না সহজে, সেজন্য আমাদের Social Media এর সাহায্য নিতে হবে, যেখানে কম বেশি সবাই Active থাকে, জনপ্রিয় কয়েকটি Social Media হলো Facebook, Youtube, Twitter, Instagram, LinkedIn সবগুলাতে একটি করে একাউন্ট করে নিবেন।
বাংলায় হলে সব থেকে বেশি ভিজিটর পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে Facebook থেকে। সেখানে ওয়েবসাইটের নামে একটা পেজ ক্রিয়েট করে নিবেন। সেখানে আপনার পরিচিতো সবাইকে এড করে নিবেন, ইনফরমেটিভ পোষ্ট লিখতে থাকবেন তখন Facebook থেকেও অনেক ভিজিটর পাবেন।
বড় বড় Group গুলোতে Value দেয়ার চেষ্টা করবেন, Group এ পোষ্ট করার সময় লিংক দিবেন না, লিংক দিলে পোষ্ট Approve পাবেন না। Group এর মেম্বাররা আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে ঠিক এ এক সময় আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে, গুগলে আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে, যদি আপনি তাদের সবসময় সঠিক তথ্য দিয়ে থাকেন।
Read More: ব্লোগ পোষ্ট Proof Reading করা জরুরী কেন?
Bloggin is a Business একটা ব্যবসা দ্বার করানোর জন্য কত কি করতে হয়। নতুন অবস্থায় কেউ তো আপনার ওয়েবসাইট চিনে না, সেজন্য ওয়েবসাইটটিকে সবার সামনে পরিচিতো করার জন্য মার্কেটিং করতে হবে। উপরে তো Social Media Marketing নিয়ে কথা হলো। এখন আর কি কি উপায়ে ভিজিটর আনার জন্য মার্কেটিং করা যায়?
হা, একটি সুন্দর মাধ্যম হলো ফোরাম সাইট, সেখানে পোষ্ট করেও আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন। জনপ্রিয় কয়েকটি ফোরাম ওয়েবসাইট হলো, Quora, Medium
আর বাংলায় হলে Techtunes, Priyo এরকম কিছু ওয়েবসাইট আছে সেখানে আপনি একাউন্ট করে পোষ্ট করতে পারবেন, পোষ্ট করে সেখান থেকে ট্রাফিক আপনার ব্লোগ সাইটে Drive করে নিতে পারেন।
আপনি কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর দেখবেন একটা PopUP Show করে Join Our Newslatter, ডান পাসের সাইডবারে দেখতে পান Write Your Email and Get Latest Post on Your Emai এগুলোকে বলে Newsletter
সবিধা হলো যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে আসে, আবার আসবে কিনা তার কোন ভরসা নেই, আর যদি ভিজিটরের আপনার কন্টেন্ট পছন্দ হয় এবং এমন একটি Newslatter দিয়ে রাখছেন । তাহলে ৯০% চাঞ্জ থাকবে সে ওখানে ইমেইল দিয়ে জয়েন করবে।
আর যখন আপনি নতুন পোষ্ট করবেন,নতুন পোষ্ট গুলো তার ইমেইল এ চলে যাবে। ঐ ভিজিটর তখন আপনার Deaily Reader হয়ে যাবে।
ওয়েবসাইট বানানোর পর কি কি করা উচিত, সে সম্পর্কে যতুটুক পেরেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনাদের মতে যদি আরো কিছু এড করা লাগে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন
আর কেমন লেগেছে সেটা জানাতে ভুলবেন না
Happy Blogging
Love Blogging