Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
ব্লোগ বানানোর মূল লক্ষ্য যেটায় হোক না কেন,যারা সিরিয়াস ভাবে ব্লোগিং করতে চায় তাদের একটায় লক্ষ্য থাকে মানুষ তার ব্লোগ সাইটে যেন প্রতিদিন আসে আর তার নতুন নতুন সব পোষ্ট পড়ে এবং ওয়েবসাইটের মধ্যে অনেক সময় ধরে থাকে।বেশি সময় ধরে থাকলেই ওয়েবসাইটের Bounce Rate কম হবে।
আপনি যদি একজন নতুন ব্লোগার হয়ে থাকেন এবং আপনিও চান ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে বেশি সময় ধরে যেন থাকে, যাতে Bounce Rate কম হয়। Bounce Rate অনেক গুরুত্বপুর্ন আপনার পোষ্ট গুগলে রেংক করার জন্য।
Bounce Rate কম করার আগে আপনাকে জানতে হবে, যে Bounce Rate কি, এটা দিয়ে কি করে, খায় না মাথায় দেয়!
আপনার ওয়েবসাইটে প্রতদিন নতুন নতুন ভিজিটর আসে কিছু গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ও রেফারেল লিংকস থেকে, ওইসবের মধ্যে থেকে কিছু ভিজিটর আছে যারা বেশি সময় ধরে থাকে ও আলাদা লিংকেও ক্লিক করে।
Bounce Rate হলো ওইসব ভিজিটর এর পার্সেনটেজ যারা আপনার ব্লোগে আসে কিন্তু কোন পোষ্ট না পড়ে সাথে ব্যাক করে যায়। মানে কেউ একজন আসলো আপনার ওয়েবসাইটে এসেই ব্লগ লোড না হতেই আবার ব্যাক করে চলে যায় সেটাকে বলে Bounce Rate।
এটি যত বেশি হবে ততই ওয়েবসাইটের রেংকিং এর উপর প্রভাব পড়বে।এটি মোটেই সাইটের মালিকের জন্য ভাল না। Bounce Rate বাড়ার অনেক কারন থাকতে পারে।আপনার মুল ফোকাস থাকবে যেমনে হোক Bounce Rate কম রাখার।
Google Analytic হলো গুগলের এমন একটি প্রডাক্ট যেটি ব্যবহার করে আমরা সহজে নিজের ওয়েবসাটের যারা ভিজিটর আছে তাদের সম্পর্কে জানতে পারব।কোন কোন দেশ থেকে ভিজিটর আসে ,কতগুলো পেজ ভিউ হয় এবং মুল বিষয় কিরকম Bounce Rate হয়ে থাকে, তার সাথে একজন ভিজিটর কতসময় ধরে আছে,কোন পেজ ভিজিট করতেছে এরকম অনেক বিষয় জানতে পারবেন।
যেমন বললাম Google Analytic ব্যবহার করে Bounce Rate দেখতে পারবেন,এটি করার জন্য আপনাকে Google Analytic এ একাউন্ট করে ওয়েবসাইট ভিরিফাই করে নিতে হবে।
ভেরিফাই করার পর Google Analytic থেকে Reporting এ যাবেন সেখানে থেকে site content>All pages এ ক্লিক করবেন,ক্লিক করার সাথে সাথে সব তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে।আপনি দেখতে পারবেন কত পার্সেনটেজ Bunce Rate আসতেছে মানে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ব্যাক করে যাচ্ছে।
ওয়েবসাইটের Bounce Rate যদি ৩৫% এর বেশি হয় তাহলে আপনাকে মোটামুটি সিরিয়াস হয়ে বিষয়টি দেখতে হবে,কেন আপনার ভিজিটর ওয়েবসাইট থেকে ফিরে যাচ্ছে।
আবার ওয়েবসাইটের Bounce Rate যদি ৫০% এর বেশি হয়ে যায়, তাহলে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে।তাড়াতাড়ি এটির সমাধান করতে হবে।
কোন কারনে তারা ওয়েবপেজ ক্লিক করে সাথে ব্যাক হয়ে যাচ্ছে ,কারণ এরকম হওয়া মোটেও ভাল না।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য কত অনেক পরিশ্রম করতে হয়।কিন্তু তারা যদি ওয়েবসাইটে নায়ে থাকে তাহলে তো সব পরিশ্রম বেকার চলে যাবে।সেজন্য ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার সময় যেমন কষ্ট করেন,তেমনি তাদের ভাল কিছু দেয়ার জন্য যাটা যাচ্ছে সেরকম কনটেন্ট দিতে থাকবেন কষ্ট হলেও।
এতক্ষনতো জানলাম Bounce Rate কি,কিভাবে দেখতে হয়।তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক
কিভাবে আমরা এই Bounce Rate কমাতে পারি এবং ওয়েবসাইটের ভিজিটর দিগুন পরিমান বাড়াতে পারি।
আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এমন ভাবে করেছেন,ভিজিট করতেই সব চোখের মধ্যে লাগে, কালারের শেষ নেই,যখন যেই কালার পেয়েছেন ওয়েবসাইটে দিয়ে দিছেন।আবার অনেকে বিভিন্ন রকমের এনিমেশন দিয়ে থাকে।
কিন্তু যারা আপনার ভিজিটর আছে তাদের ডিজাইন সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকলেও, তারা কিন্তু ভাল মন্দ বুঝতে পারে। তাই বলব এসব কালার, এনিমেশন পরিবর্তন করে নিবেন।
সাধারন ডিজাইন রাখবনে,যাতে যারা ভিজিটর আছে তারা যেন পোষ্টি ভাল ভাবে পড়তে পারে ও আপনার ওয়েবসাইটে বেসি সময় ধরে থাকে।
সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি করার,কারণ এখনকার সময়ে বেশিভাগ মনুষেই মোবাইল দিয়ে ব্রাউজিং করে।দিন দিন মোবাইলের চাহিদা বাড়তেছে।তাই গুগলের মধ্যে দ্রুত রেংক করার জন্য ওয়েবসাইটের সব মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া খুব জরুরি।
মোবাইল থেকে কেউ একজন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করল।করার পর দেখা যাচ্ছে একটা কনটেন্ট ডান দিকে, আরেকটা চলে গেছে নিচের দিকে। ভাংগাচুরা অবস্থা তখন অবশ্যই যে ভিজিট করেছে, সাথে ব্যাক করে চলে যাবে।তখনে আপনার ওয়েবসাইটের Bounce Rate Bangla বেড়ে যাবে।
সেজন্য সর্বদা মোবাইলে যেন ভাল ভাবে পোষ্ট দেখা যায়,সেরকম থিম ব্যবহার করবেন। যার ফলে আপনার ব্লোগ সাইটের বাউন্স রেট কমে যাবে।
User Friendly বলতে আপনার পোষ্টি এমন ভাবে ডিজাইন করবেন বা ফোরমেট টা রাখবেন,যাতে ভিজিটর সহজ ভাবেই পুরো পোষ্টি পড়তে পারে এবং মেনুবার সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করে নিবেন, কারণ মেনুবার টা সবার চোখে পরে, সেখানে ক্যাটাগরি গুলা ভাল ভাবে সাজায় নিবেন।
পোষ্টের টাইটেল সুন্দর ভাবে লিখবেন, যেটি পড়ে ভিজিটর বুঝতে পারে এই পোষ্টের মধ্যে কি কি বিষয় থাকবে। অনেকে আছে যারা ভিজিটর পাওয়ার জন্য টাইটেলে হাবিজাবি সব লিখে রাখে, কিন্তু মূল পোষ্টের ভিতরে কিছু থাকে না।
তখন কিন্তু ভিজিটর সাথে ব্যাক করে চলে যাবে আপনার ওয়েবসাইট থেকে, বেড়ে যাবে বাউন্স রেট যার কারনে রেংকিং খারাপ হতে পারে।
টাইটেল পড়ার পর যখনে নিচের Paragraph পড়তে শুরু করবে, সেখানে ক্লিয়ার ভাবে সব মূল তথ্য গুলা উপস্থাপন করবেন। উনি এই পোষ্ট থেকে কি কি ইনফরমেশন পাবেন। সব কিছু ৩ থেকে ৪ লাইনের মধ্যে বুঝানোর চেষ্টা করবেন।
যে বিষয়টি টাইটেলের মধ্যে দিয়েছেন সেই সম্পর্কে ভাল করে সম্পুর্ন কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন।যাতে করে ভিজিটর আপনার পোষ্টের টাইটেল দেখে লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে গিয়ে যেন সেই সব তথ্য পেয়ে যায়।
আলাদা আর কোন ওয়েবসাইটে যেতে না হয়।ওই পোষ্টি পড়ার পর তার ভাল লাগলে, আপনার ওয়েবসাইটের আরো পোষ্ট পড়া শুরু করবে।
বড় আকারে্র ব্লোগ পোষ্ট লেখার সময় সতর্ক থাকবেন, কনটেন্ট লেখার সময় চেষ্টা করবেন ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লেখার।এভাবে লিখলে কনটেন্টের সৌন্দর্য বাড়ে, ইউজার ও পড়তে পছন্দ করে এবং ওয়েবসাইটে বেশি সময় ধরে থাকে
বড় আর্কিটেল লিখবেন মানে এই না যে,যা ইচ্ছা তাই লিখবেন। আপনার পোষ্ট যে বিষয়ে সম্পুর্ন খুটি নাটি সে টপিক এ লেখবেন।যাতে পড়ার সময় খারাপ ফিল না করে।
ওয়েবসাইটকে আকর্ষনীয় করার জন্য ভাল ভাল ইমেজ,ভিডিও দেয়ার চেষ্টা করবেন অবশ্যই কিন্তু যে বিষয়ে লিখেছেন সেই রেলেটেড দিবে।
লিখেছেন বেষ্ট মোবাইল ফোন নিয়ে আর ইমেজ, ভিডিও দিয়ে রাখছেন টেলিভিশনের, এরকম যেন না হয়।
কনটেন্ট রেলেটেড ইনফোগ্রাফিক ও দিতে পারেন, এখন তো আবার ইনফোগ্রাফিকের সময়।
Loading Time কমায় নিয়ে আসা খুব জরুরি Bounce Rate কম করার জন্য।কারন লিংকে ক্লিক করে কেউ বেশি সময় অপেক্ষা করতে চায় না।ওয়েবসাইট চালু না হলে তারা ক্লোস করে আরেকটা ওয়েবপেজে ভিজিট করে, যেটা আপনার জন্য খুব খারাপ।
এজন্য আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে,আপনার ওয়েবসাইট যেন খুব তাড়াতাড়ি ওপেন হয়।সেজন্য ইমেজের সাইজ কমায় নিবেন।আর পেজের মধ্যে বেশি ইমেজ, ভিডিও ব্যবহার করবেন করবেন না।
আরো চেষ্টা করবেন ভাল Hosting নেয়ার এবং ওয়েবসাইটি WordPress এ হলে ভাল একটি Lightweight Theme ব্যবহার করার।
এই ওয়েবসাইটের পোষ্ট লোড হতে ১.৫ সেকেন্ডের মত লাগে,সেই ভাবে ওয়েবসাইটের স্পিড অপটিমাইজেশন করা হয়ে। যাতে আপনারা ভাল ভাবে ভিজিট করে পড়তে পারেন।
একটি পোষ্ট লেখার সময় সেই পোষ্টের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের আলদা যেসব পোষ্ট আছে সেগুলা যেখানে যেখানে লাগে সেখানে লিংক করে দিবেন।এই পোষ্টের মধ্যেও দেখবেন অনেক যায়গায় আমি লিংক এড করে দিয়েছি।
যখন একজন ভিজিটর পোষ্ট থাকবে তখন সে যেন আলাদা লিংকেও ক্লিক করে বাকি পোষ্ট পড়তে থাকে।আর আপনার ওয়েবসাইটে বেশি সময় ধরে থাকে
পোষ্টের ডান অথবা বাম দিকে ভাল কয়েকটা Widget লাগায় রাখবেন। যেমন Recent Post, Category list
যখন পোষ্টি পড়া হবে ,তখন যেন সেদিকে নজর যায়,সে সব জায়গায় লাগাতে হবে।
ব্লোগার ভাইয়েরা, সবাই তো বুঝতে পেরেছেন বাউন্স রেট কি, ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কিভাবে কম করে, অবশ্যই কমেন্ট করে যানাবেন। Bounce Rate নিয়ে আরো কিছু জানার থাকলে সেটিও জানাতে পারেন।
আর যাই করেন না কেন, যেমনে হোক ওয়েবসাইটের Bounce Rate কম রাখার চেষ্টা করবেন। যেন আপনার সব ভিজিটরকে ধরে রাখতে পারেন ।